স্বাধীনতার পর পরই মহান মুক্তিযুদ্দের চেতনা নিয়ে প্রবর্তন করা হয়েছে শিশু আইন ১৯৭৪, জাতীয় শিশু নীতি ১৯৯৪ গ্রহণ করা হয়েছে এবং শিশুদের জন্য জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০০৫-২০১০ সহ বহুবিদ উন্নয়ন প্রকল্প । শিশু শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মঘন্টা, মজুরি, উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ এবং তাদের ভবিষতের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০০৮ অনুসরণ করে.............কোম্পানি একটি সুনিতিমালা প্রনয়ন করে।
শিশু শ্রমিক প্রতিরোধ ও নিরসন পদ্বতি t
(কোম্পানির নাম ) দেশের প্রচলিত বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর বিধানসমূহ সঠিকভাবে পালন করতে বদ্ধ পরিকর এবং শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনির্ম বয়স অনুসরণ করে থাকে । অর্থাদ ১৮ বছরের কম বয়সের কোনো শ্রমিক নিয়োগ করা হয়না ।
শিশু শ্রমিক নিযোগ না করা / হওয়ার জন্য নির্মবর্নিত পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করে থাকে :
- শ্রমিকের ওজন ও বয়স প্রমানের বিভিন্ন অঙ্গ সঠিকভাবে পর্যভেক্ষণ করে সকল শ্রমিককে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ।
- শ্রমিক / কর্মচারী নিযোগ করার সময় 'প্রাপ্ত বয়স্ক' এই মর্মে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে নিয়োগ করা হয় ।
- সকল শ্রমিকের নিয়োগের ১৫ দিন পরে দিতীয়বার কারখানা কর্তিপক্ষ সরজমিনে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্ণ করে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেন ।
শিশু শ্রমিক সনাক্ত করণ পদ্ধতি :
উপরোক্ত সম্পন্ন করে সকল শ্রমিক / কর্মচারীকে নিয়োগ করা হয় । তারপরও কোনো কারণে কারখানা পরিদর্শন কালে কোনো শ্রমিক / কর্মচারীকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে মনে হলে নির্ম বর্ণিত পদ্ধতি সমূহ অবলম্বন করে থাকে।
- সন্দেহ জনকভাবে কাউকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মনে হলে প্রথমে তাদের নির্ধারিত ফর্মে তালিকা করে কর্তিপক্ষের নিকট সরজমিনে হাজির করা হয়।
- কারখানার উর্ধতন কর্তিপক্ষ ও মেডিকেল অফিসারের সমন্নয়ে গঠিত বোর্ডে নিঃসন্দেহে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রমানিত হলে তাদেরকে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন।
- উক্ত বোর্ডে যদি তিনি সন্দেহজনকভাবেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে প্রমানিত হন, তবে উক্ত শ্রমিককে "সংযুক্ত চুক্তিনামা অনুযায়ী" নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে পাঠিয়ে তাহার মেডিকেল পরীক্ষা (বন টেস্ট) করানো হয় । সেখানে তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে প্রমানিত হলে তাহাকে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয় ।
- ভুল বশত: যদি কোনো শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা তাহলে কোম্পানি দ্রুত তার অব্যাহতির ব্যবস্থা করে তার শিক্ষার যাবতীয় ব্যয়বার বহন করবে । কোম্পানি আরো নিশ্চয়তা প্রদান করে যে তার শিক্ষা সমাপ্ত হলে এবং তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তাহাকে কোম্পানীতে চাকুরীর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।